আজ বৃহস্পতিবার, ২০শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অলৌকিক কিছু সত্যি ঘটনা!

আমাদের এ পৃথিবীতে এমন কিছু অলৌকিক ঘটনা ঘটে যা বিশ্বাস করতে চান না অনেকেই। বিশেষ করে আত্মা কিংবা অতৃপ্ত আত্মা নিয়ে অলৌকিক ঘটনা। বিশ্বাস না করলেও এসব ঘটনার নেপথ্যে কিছু ব্যাখ্যা বা যুক্তি থাকে যা ফেলে দেয়ার মতো নয়। এ রকম কিছু অলৌকিক সত্যি ঘটনা নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।
খাঁচাবন্দি পিশাচ
আমেরিকার পেনসিলভানিয়ার ক্যাটাউইসার পুরানা মাউন্ট জায়ান্ট গোরস্থানে গেলে একটি বিচিত্র দৃশ্য দেখা যাবে। এক জোড়া কবর ঘিরে দেয়া হয়েছে খাঁচা দিয়ে। এ দুটি কবর ছিল দুজন মহিলার, যারা ১৮৫২ সালে মারা যান। এখানে তৃতীয় আরেকজন মহিলার কবর ছিল, যার নাম ছিল রেবেকা ক্লেটন। রেবেকার কবর মেরামতের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ায় ১৯৩০ সালে সেটা সরিয়ে নেয়া হয়। তিনজন মহিলাই ছিলেন নিকটাত্মীয়। বিয়ের অল্প কিছুদিন পর তিনজনই মারা যান। কেন তাদের কবর খাঁচায় আবদ্ধ করা হয়েছিল? অনেকে বলেন, সে সময় এরা কলেরায় ভুগে মারা যান। পানিবাহিত এ রোগ দ্রুত ছড়িয়ে যায় বলে এদের আলাদাভাবে কবর দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেক্ষেত্রে খাঁচা কেন দিতে হবে, কবর দেয়াই কি যথেষ্ট নয়? বিকল্প বক্তব্য হচ্ছে, এ তিনজন মহিলাই ছিলেন ভ্যাম্পায়ার, যারা রাতের বেলায় কবর থেকে উঠে এসে জীবিত মানুষের রক্তপান করতেন।

কোটেই ভবনের আত্মারা

মার্কিন প্রেসিডেন্টদের ভবন হোয়াইট হাউস নিয়ে অনেক অনেক অদ্ভুতুড়ে ঘটনা শোনা যায়। কিন্তু জাপানের প্রধানমন্ত্রী ভবন ‘কোটেই’ও সম্ভবত অশরীরী আত্মাতে গিজগিজ করছে। ১৯২৯ সালে এ ভবনটি নির্মিত হয়। তখন থেকে এখানে বসবাসকারী জাপানের প্রধানমন্ত্রী ও ফার্স্টলেডিরা এ বাড়িতে অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটার অভিযোগ করে আসছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে এ বাড়িতে থাকতে আপত্তি জানান। যদিও তিনি বলেছেন, এত বড় বাড়ি তার প্রয়োজন নেই। কিন্তু জাপানের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘আশাহি শিম্বুন’ জানায়, শিনজো আরেকজনকে বলেছিলেন, কোটেইতে ভূত আছে, তাই তিনি সেখানে থাকতে চান না।

এ বাড়িটির দীর্ঘ ইতিহাস হচ্ছে রক্তাক্ত। ১৯৩২ সালের ১৫ মে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইনুকাই তয়ুশি নৌবাহিনী অফিসারদের হাতে খুন হন। এ ঘটনার চার বছর পর ২৮০জন সেনা অফিসার এ ভবনের ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন। তুমুল গোলাগুলিতে চারজন পুলিশ সদস্য নিহত হন। দুর্ভাগ্যক্রমে চেহারায় মিল থাকায় নতুন প্রধানমন্ত্রী কেইসুকি ওকাডার দুলাভাই নিহত হন, কিন্তু ওকাডা পালিয়ে যান। সে ঘটনাগুলোর এত বছর পরও এ ভবনের ক্ষত-বিক্ষত দেয়াল সে বীভৎস ঘটনার সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। এখনও এ ভবনে অশরীরী সেনাদের দেখা পাওয়া যায় বলে দাবি করেছেন জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিরো মরি।

কবর থেকে কথা বলা

চার্লস ডিকেন্স যখন মারা যান, সে সময় তার বয়স ছিল ৫৮ বছর। মারা যাওয়ার আগে তিনি দ্য মিস্ট্রি অব এডউইন ডোর নামে একটি রহস্যোপন্যাস লেখা শুরু করেছিলেন, যেটা রয়ে গিয়েছিল অসমাপ্ত।

তার মৃত্যুর পর তার ছেলেসহ অনেকেই চেষ্টা করেন উপন্যাসটি শেষ করার কিন্তু ব্যর্থ হন। ১৮৭৩ সালে এ উপন্যাসের সবচেয়ে বীভৎস সংস্করণ বের হয়। থমাস জেমস নামের একজন লেখক জানান, খোদ চার্লস ডিকেন্সের আত্মা কবর থেকে উঠে এসে তার দেহে ভর করে ও উপন্যাসটি শেষ করেন। এর প্রমাণ হিসেবে জেমস নিজের হাতে লেখা গল্পের পাণ্ডুলিপ দেখান। সেখানে যে হাতের লেখা ছিল তার সঙ্গে জেমস কিংবা ডিকেন্স কারোর হাতের লেখারই মিল ছিল না। বইটি প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে সাড়া পড়ে যায়। অনেকে জেমসকে ধাপ্পাবাজ বললেও অনেক বিখ্যাত লেখক যেমন শার্লক হোমস সিরিজ রচয়িতা স্যার আর্থার কোনান ডয়েল জেমসকে সমর্থন জানান। অত্যন্ত অদ্ভুতভাবে এ বইটির পর জেমস আর কোনো বই লিখতে সক্ষম হননি।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ